এই ইউক্রেনীয় ভিডিও ব্লগারের নামটি রাশিয়ার প্রায় প্রতিটি বাসিন্দার কাছে পরিচিত। মার্চ 2013 সালে, তিনি তার চ্যানেল নিবন্ধন করেন এবং খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করেন। এখন অবধি, তরুণ তারকার বেশিরভাগ দর্শকই জানেন না ইভাঙ্গে কোথায় থাকেন। আসুন এই বিষয়টি পরিষ্কার করার চেষ্টা করি।
প্রথম ধাপ
ইভান রুডস্কয় আমেরিকান স্বপ্নের রূপকার। তিনশোরও কম লোকের একটি গ্রামের একজন লোক তার নিজের দক্ষতার জন্য কোটিপতি হতে সক্ষম হয়েছিল। অল্প বয়সে, তিনি তার পিতামাতার কাছ থেকে একটি উপহার হিসাবে একটি ভিডিও ক্যামেরা পেয়েছিলেন এবং এক মিনিটের জন্যও এর সাথে বিচ্ছেদ করেননি৷
2013 সালে, ব্লগিং পরিবেশে খুব বেশি প্রতিযোগিতা ছিল না এবং এটি একটি তরুণ ইউক্রেনীয় যুবকের ক্যারিয়ারে ভূমিকা পালন করেছিল। লেটস প্লে করার লক্ষ্যে ইভাংয়ে তার নিজস্ব চ্যানেল তৈরি করেছেন। "Nerd Song" নামের প্রথম ভিডিওটি দর্শকদের কাছে সমাদৃত হয়নি। সিআইএস-এর সবচেয়ে ধনী ব্লগার হওয়ার আগে লোকটি কীভাবে বেঁচে ছিল তা দেখার জন্য এখন এটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নিম্নলিখিত সৃষ্টিগুলি মাইনক্রাফ্ট গেমের জন্য উত্সর্গীকৃত ছিল। তরুণ গেমাররা চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইব করা শুরু করে এবং 2014 সালের মধ্যে যুবকের ইতিমধ্যেই তার নিজস্ব দর্শক রয়েছে। এ সময় তিনি কোথায় থাকেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছেইভাঙ্গাই।
জাপান
2015 সালের বসন্তে, লোকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য সাপোরোতে যায়। এই আশ্চর্যজনক দেশে জাপানিদের জীবন এবং তার জীবন সম্পর্কে ভিডিওগুলি ইভানগাই চ্যানেলে প্রদর্শিত হতে শুরু করে। দর্শকরা এই বিন্যাসে আগ্রহী, এবং গ্রাহকের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। মারিয়ানা রোজকোভার সাথে পরিচিত হয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হয়েছিল। মেয়েটি জাপানে থাকত এবং দীর্ঘদিন ধরে ভ্যানিয়ার সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার স্বপ্ন দেখেছিল। বৈঠকের পর, তারা সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করতে শুরু করে এবং শীঘ্রই নিজেদেরকে দম্পতি ঘোষণা করে।
রাশিয়ায় চলে যাওয়া
দেড় বছর পরে, তথ্য পাওয়া যায় যে ইভানগাই মস্কোতে চলে গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং চ্যানেলের উন্নয়নে তার সমস্ত প্রচেষ্টার নির্দেশ দেন। ততক্ষণে, তার ইতিমধ্যেই 7 মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক ছিল, এবং তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্লগারদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন৷
ব্লগার তার বিষয়বস্তুকে আসল করার চেষ্টা করেন, প্রতিটি সমস্যায় প্রচুর মন্তব্য থাকে। যাইহোক, লোকটির প্রাথমিক কাজ বিশ্লেষণ করার পরে, কেউ সহজেই বিদেশী চ্যানেল থেকে চুরির বিষয়টি লক্ষ্য করতে পারে৷
তার প্রেমিককে অনুসরণ করে, মেরিনাও রাজধানীতে চলে যায়। তারা একসাথে থাকে না, তবে যৌথ ভিডিওগুলি প্রায়শই অ্যাপার্টমেন্টে চিত্রায়িত হয় যেখানে ইভানগে থাকেন৷
ক্যামেরায় ভালোবাসা
একজন ব্লগারের জীবনে একজন কমনীয় মেয়ের আবির্ভাবের সাথে সাথে তার চ্যানেলের প্রতি আগ্রহ অনেকগুণ বেড়ে গেছে। গ্রাহকরা (বেশিরভাগই তরুণ) তাদের সম্পর্কের বিকাশ আগ্রহের সাথে দেখেছেন। যৌথ ভিডিওগুলি লক্ষ লক্ষ ভিউ এবং কয়েক হাজার লাইক সংগ্রহ করে৷ একই সময়ে, ব্যবহারকারীরা প্রায়ইভাবছেন ইভাংয়ের বয়স কত? সর্বোপরি, মারিয়ানার বয়স মাত্র পনেরো, এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে পারে না। 21 বছর বয়সী একজন লোককে পেডোফিলিয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তবে তরুণরা নেতিবাচকতার তরঙ্গের দিকে মনোযোগ দেয় না। চ্যালেঞ্জ, বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ভিডিও এবং ভ্রমণ প্রেমের ছেলেদের প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
নতুন তারকা
তার প্রেমিকার জনপ্রিয়তার পটভূমিতে, মেরিনা নিজেই সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগার হয়ে ওঠেন। কয়েক মাসের মধ্যে, এর শ্রোতা 50,000 গ্রাহক থেকে 5 মিলিয়ন লোকে বেড়েছে৷ তার বিষয়বস্তু মেয়েদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এমনকি শিশু শ্রোতাদের জন্যও খুব আবেগপ্রবণ। মেয়েটির বিরুদ্ধে অত্যধিক বিদ্বেষ এবং ভান করার অভিযোগ রয়েছে, তবে রোজকোভা সমালোচনা উপেক্ষা করেন। কিশোরদের মধ্যে, তিনি একটি বাস্তব প্রতিমা হয়ে ওঠে। যাইহোক, শীঘ্রই তাকে সত্যিকারের ঘৃণা এবং সাইবার বুলিং কী তা খুঁজে বের করতে হবে৷
গ্যাপ
যত তাড়াতাড়ি ভক্তরা মারিয়ানার "ইডিয়টস" নামক সুন্দর ক্লিপটি উপভোগ করেননি, যখন নেটওয়ার্কে তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল যে লোকটি তার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। একটি সাক্ষাত্কারে, তিনি বলেছিলেন যে তারা চরিত্রগুলিতে একমত হননি এবং কিছু সময়ের জন্য তারা কার্যত যোগাযোগ করেননি। লোকটি আরও বলেছে যে সে তাকে জাপানের একটি টিকিট কিনেছে এবং সেই মুহুর্ত থেকে, আর কিছুই তাদের সাথে সংযোগ করে না। কিন্তু এই বিবৃতিগুলি গ্রাহকদের দ্বারা উপেক্ষা করা হয়েছিল, মেয়েটির অসংখ্য বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে গুজব ছিল। সেই মুহুর্তে, কেউ জানত না মারিয়ানা কেমন অনুভব করেছিল এবং সে কোথায় থাকে। ইভানগাই তার কর্মের ব্যাখ্যা দেননি।
একটি নেতিবাচকতার ঢেউ বয়ে গেছে তরুণ ব্লগারের উপর, এবংতার চ্যানেল শুধু অপছন্দ এবং বাজে মন্তব্যে ডুবে গেছে। কয়েক দিন পরে, মেরিনা একটি ভিডিও তৈরি করেছিলেন যাতে তিনি তাদের বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন এবং একা থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু এটি আরও বেশি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল এবং প্রকৃত নিপীড়নের দিকে পরিচালিত করেছিল। তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু মেয়েটি তার দর্শকদের অংশের আনুগত্য ফিরে পেতে পারেনি।
ডায়মন্ড বোতাম
2016 সালের শরত্কালে, হোস্টিং ম্যানেজমেন্ট দেখেছিল YouTube-এ ইভানগাই-এর কতজন সাবস্ক্রাইবার ছিল। সংখ্যাটি 10 মিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং তিনি ডায়মন্ড বোতামের মালিক হয়েছেন। একই সময়ে, সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগার তার প্রথম বই লেখেন। এই রঙিন পেপারব্যাক সংস্করণটি তরুণ ভক্তদের কাছে আবেদন করেছিল। প্রচুর ফটো, প্রোফাইল এবং প্রশ্নাবলী - ছোট মেয়েদের আর কি দরকার? প্রচুর সাফল্যের সাথে অর্থ এসেছে। ইভানের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিতে অনেক টাকা খরচ হয়। লোকটি কতটা পায় তা বলা কঠিন, তবে মোটামুটি অনুমান অনুসারে, বছরে কমপক্ষে $ 1 মিলিয়ন। এমনকি ইভানগাই যে রাজধানীতে বাস করেন, এই পরিমাণটি দুর্দান্ত বলে মনে হচ্ছে, এই কারণে যে সম্প্রতি ব্লগার খুব কমই নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং তার গ্রাহকদের খুশি করেছেন। এই মুহুর্তে, লোকটি এখনও মস্কোতে থাকে৷
